প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি

প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি

মুফতী মাসুম বিল্লাহ 

 

জন্ম ও পরিবার :

তৎকালীন ঢাকা জেলার মুন্সিগঞ্জ মহকুমার বিক্রমপুর পরগনাস্থ লৌহজং থানার ভিরিচ খাঁ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে ১৩২৬ বাংলা সনের পৌষ মাস মোতাবেক ১৯১৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
পিতার নাম: আলহাজ্ব এরশাদ আলী।

তিনি মাত্র ৫ বছর বয়সে তাঁর মাকে হারান। ফলে নানা বাড়ীতে নানী ও খালার কাছে লালিত-পালিত হন।

শিক্ষা জীবন:

গ্রামের মক্তবে কিছুদিন পড়ার পর সাত বছর বয়সে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জামেয়া ইউনুসিয়ায় ভর্তি হন। সেখানে মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ. এর তত্ত্বাবধানে ৪ বছর লেখা-পড়া করেন। ১৯৩১ সালে ঢাকা বড় কাটারা মাদরাসায় ভর্তি হয়ে ১২ বছর লেখা-পড়া করে কৃতিত্বের সাতে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। এ সময়ে আল্লামা যফর আহমদ উছমানী, আল্লামা রফিক কাশ্মীরী, হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী, হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. প্রমূখ বিজ্ঞ হাদীস বিশারদদের কাছে কুরআন হাদীসের জ্ঞান লাভ করেন।

১৯৪৩ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতের বোম্বের সুরত জিলার ডাভেল জামেয়া ইসলামিয়ায় ভর্তি হন। সেখানে মাওলানা শাব্বীর আহমাদ উসমানী রহ. মাওলানা বদরে আলম মিরাঠী রহ. প্রমুখের কাছে শিক্ষা লাভ করেন। শাব্বীর আহমাদ উসমানী রহ. বুখারী শরীফের যে আলোচনা করেন তা তিনি নোট করে রাখেন। পরবর্তী জীবনে এ ব্যখ্যাই তাঁর জীবনের বিশেষ সম্বল হয়ে উঠে। সর্বশেষ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে মাওলানা ইদরীস কান্ধলবী রহ. এর তত্ত্বাবধানে তাফসীর বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। এবং তাঁর উস্তাদ মাওলান শামছুল হক ফরিদপুরী রহ. এর নির্দেশে ঢাকায় চলে আসেন।

কর্মজীবন :

ভারতের ডাভেলস্থ জামেয়া ইসলামিয়ায় উচ্চ শিক্ষা শেষে সেখানে অধ্যাপনার দায়িত্ব নেওয়ার আহবাদ জানানো হলেও তার মুরুব্বীগণের নির্দেশে ঢাকাস্থ বড় কাটারা মাদরাসায় শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এ মাদরাসায় দক্ষতার সাথে ১৯৪৬ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। ১৯৫২ সালে লালবাগ মাদরাসায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বুখারী শরীফ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কিতাবের দরস দেন। 

সেখানে কৃতিত্বের সাথে বুখারী শরীফের অধ্যাপনায় ব্যাপিত থাকায় তাকে ‘শাইখুল হাদীস’ খেতাব দেওয়া হয়। এ সময়েই বুখারী শরীফের বঙ্গানুবাদ প্রকাশিত হয়। লালবাগে অধ্যাপনার ফাঁকে ১৯৭১ সাল থেকে ২ বছর বরিশাল জামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে বুখারী শরীফের অধ্যাপনা করেন। 

৩ বছর সেখানে এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া নামে মুহাম্মাদপুরস্থ মোহাম্মাদী হাউজিং এ একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যা ১৯৮৮ সালে মুহাম্মাদপুরস্থ সাত মসজিদের পার্শ্বে নিজস্ব জমির ব্যবস্থা হওয়ায় জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া নামে স্থানান্তিরত হয়। বর্তমানে তিনি এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান মুরুব্বী ও শাইখুল হাদীস হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মালিবাগ জামিয়া শরইয়্যায়ও প্রিন্সিপাল হিসাবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার ‘শাইখুল জামিয়া’ ও ‘শাইখুল হাদীস’ হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ মাদরাসায় ‘শাইখুল হাদীস’ হিসাবে হাদিসের খেদমাত করেন।

বর্তমানে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, মিরপুর-১৪ জামেউল উলুম মাদরাসা, দরুস সালাম মাদরাসা, লালমাটিয়া জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা, সাভার ব্যাংক কলোনী ও বনানী জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় বুখারী শরীফের দরস দিচ্ছেন। তিনি হদীসের একজন গবেষক হিসাবে অধ্যাপনার পাশাপাশি সারা দেশেই ইসলামের দাওয়াত নিয়ে হাজির হন । তার বয়ান শুনতে হাজার হাজার লোক জমায়েত হয়। তিনি লালবাগ কেল্লা জামে মসজিদ, মালিবাগ শাহী মসজিদ ও আজিমপুর স্টেট জামে মসজিদে খতিব হিসাবেও দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। 

জাতীয় ঈদগাহেও ঈদের ইমামতি করেছেন বেশ কয়েক বছর। তিনি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শরীয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবেও দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মাদরাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

রাজনৈতিক জীবন:

ছাত্র জীবনেই ইংরেজ খেদাও আন্দোলনে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এ সময় ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের কারণে নির্যাতন সহ্য করেন। পাকিস্তান আমলে মাওলানা আতহার আলী, মুফতী শফী রহ. প্রমূখ আকাবিরগণের সাথে নেযামে ইসলাম পার্টির কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১. বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর সে সময় উলামায়ে কেরামের একমাত্র দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
২. ১৯৮১ সালে হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর ডাকে খেলাফত আন্দোলনে যোগ দান করেন। তখন তিনি সিনিয়র নায়েবে আমীর হিসাবে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহ সালার হিসাবে আবির্ভূত হন।
৩. ১৯৮২ সালে হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর সফর সঙ্গী ও মুখপাত্র হিসাবে ইরান, ইরাক ও মধ্য প্রাচ্য সফর করেন। এ সফরে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, স্থিতিশীলতা ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধতার ব্যাপারে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সাথে ফলপ্রসূ আলাপ-আলোচনা করেন। ইরান-ইরাক যুদ্ধ বন্ধের জন্য আয়াতুল্লাহ খোমেনী ও প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
৪. ১৯৮৭ সালে তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। এ সময় তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
৫. ১৯৮৯ সালে ৮ই ডিসেম্বর খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন।
৬. ১৯৯১ সালের ৯ই ফেব্র“য়ারী দেশবসীর উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্কালে ১৫টি মূলনীতির উপর রেডিও-টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
৭. ১৯৯১ সালে সমমনা ইসলামী কয়েকটি দল নিয়ে ইসলামী ঐক্যজোট গঠন করেন। তিনি এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে ইসলামী ঐক্যজোট ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ১টি আসন (সিলেট-৫) লাভ করে।
৮. ১৯৯২ সালে ৬ই ডিসেম্বর ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা হলে এর প্রতিবাদে শাইখুল হাদীস মিছিল, মিটিং ও আন্দোলনে সক্রিয় হন।
৯. ১৯৯৩ সালে ২-৪ জানুয়ারী বাবরী মসজিদ পুনঃ নির্মাণের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে যশোর বেনাপোল হয়ে অযোধ্যা অভিমুখে লংমার্চের নেতৃত্ব দেন। উক্ত লংমার্চে ৫ লক্ষাধিক লোক স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।
১০. বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমরাওকে বাংলাদেশে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন এবং বিমান বন্দর ঘেরাও কর্মসূচীর ডাক দেন। ফলে তৎকালীন সরকার ৯ই এপ্রিল ১৯৯৩ সালে তাকে গ্রেফতার করে। জনগণের বিক্ষোভের মুখে অবশেষে ৮ই মে ১৯৯৩ সালে সরকার শায়খুল হাদীস সাহেবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
১১. ১৯৯৪ সালে গঙ্গার পানি সংকট নিরসন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
১২. ইসলাম বিদ্বেষী এন.জি.ও দের ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন গড়ে তুলেন। নাস্তিক-মুরতাদদের শাস্তির দাবীতে ৩০ জুন ১৯৯৬ সালে হরতাল ডাকা হলে সারা দেশে অভাবনীয় সাড়া পড়ে এবং স্বত:স্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়।
১৩. ১৯৯৭ সালে তথাকথিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করা হলে শায়খুল হাদীস সঙ্গত কারণে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলেন এবং আন্দোলন করেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অভিমুখে লংমার্চ করেন।
১৪. ১৯৯৯ সালে চার দলীয় জোটে অংশ গ্রহণ করেন।
১৫. ১ই জানুয়ারী ২০০১ হাইকোর্ট থেকে ফতওয়া বিরোধী রায় দেওয়া হলে তিনি এর প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলেন।
১৬. ৪ঠা ফেব্র“য়ারী ২০০১ রংপুর থেকে সমাবেশ করে ফেরার পথে মিথ্যা মামলায় তিনি গ্রেফতার হন। কারা অভ্যন্তরে সরকারী রোষানলে পড়ে প্রায় ৪ মাস অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেন।
১৭. ২০০৬ এর ১৬ই আগষ্ট কওমী মাদরাসা সনদের সরকারী স্বীকৃতির দাবীতে পল্টনে আয়োজিত জাতীয় ছাত্র কনভেনশনে দেশ, জাতী ও সরকারের উদ্দেশ্যে এক দীর্ঘ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণে কওমী মাদরাসার সরকারী স্বীকৃতির দাবীতে পরবর্তীতে গৃহীত ও অনুষ্ঠিত সকল কর্মসূচীর জন্য মাইলফলক হিসাবে কাজ করেন। এরপর এদেশের ইসলামী আন্দোলনের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় মুক্তাঙ্গনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং স্বশরীরে রাজপথে ৫ দিন অবস্থান করে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
১৮. ২৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ঐতিহাসিক ইসলামী আদর্শিক ৫ দফার ভিত্তিতে শায়খুল হাদীসের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিসের সাথে এক নির্বাচনী সমঝোতার লক্ষ্যে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলীল তার বাসভবনে এসে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

১৯. ২০০৮ সালে ফখরুদ্দীন সরকারের কুরআন বিরোধী নারী নীতিমালার প্রতিবাদে কুরআন বিরোধী আইন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
লেখালেখি:

 

১. শাইখুল হাদীস দা. বা. এর অনন্য অবদান হল বুখারী শরীফের বঙ্গানুবাদ। প্রথমে ৭ খণ্ডে ও বর্তমানে ১০ খণ্ডে সমাপ্ত বুখারী শরীফের এ বিশদ ব্যাখ্যা। গ্রন্থটি আলেম ও সাধারণ শিক্ষিত সকলের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। বুখারী শরীফ অনুবাদ ১৯৫২ সালে হজ্বের সফরে শুরু করেন। ১৬ বছরের কঠোর সাধনায় তা সমাপ্ত করেন। এর অনেক অংশই তিনি রওজা শরীফের পাশে বসে অনুবাদ করেন।
২. ছাত্র জীবনে বুখারী শরীফের উর্দু ব্যখ্যা (শরাহ) লিখেন। ১৮০০ পৃষ্ঠার এ বৃহৎ গ্রন্থটি ‘ফজলুল বারী শরহে বুখারী’ নামে পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকেও প্রকাশের কাজ চলছে।
৩. ‘মুসলিম শরীফ ও অন্যান্য হাদীসের ছয় কিতাব’ নামে অনবদ্য এক হাদীস গ্রন্থ সংকলন করেন। এতে বিষয়ভিত্তিক হাদীসসমূহ অনুবাদসহ উপস্থাপন করা হয়েছে। এর ২ খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে।
৪. মছনবীয়ে রূমীর বঙ্গানুবাদ।
৫. পূজিঁবাদ, সমাজবাদ ও ইসলাম।
৬. কাদিয়ানি মতবাদের খণ্ডন।
৭. মাসনূন দোয়া সম্বলিত মুনাজাতে মাকবূল (অনুবাদ)।
৮. সত্যের পথে সংগ্রাম (বয়ান সংকলন)।

এ ছাড়াও তিনি কুরাআনুল কারীমের উপর বিভিন্ন পুস্তিকা রচনা করেন।

পারিবারিক জীবন:

পারিবারিক জীবনে তিনি ৫ ছেলে ও ৮ মেয়ের জনক। তাঁর পরিবারে প্রায় সকলেই হাফেজ। এমন কি নাতি-নাতনিসহ তাঁর পরিবারে হফেজের সংখ্যা প্রায় ৭০ জন।
এ মহান পুরুষ (হিজরী বর্ষ অনুযায়ী) ৯৩ বছরে উপনীত হয়েও নিরলসভাবে হাদীসের দরস এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা আলেম-ওলামা ও সাধারণ লোকদেরকে নসীহত ও দোয়ার মাধ্যমে নায়েবে নবীর গুরুদায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আমাদের উপর তার ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হোক এ কামনাই করি। আমীন।

arrow_upward